ঢাকাশনিবার , ৫ আগস্ট ২০২৩
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আপন আলোয় উদ্ভাসিত
  6. আবহাওয়া
  7. আরো
  8. এক্সক্লুসিভ
  9. কবিতা
  10. কৃষি ও প্রকৃতি
  11. খুলনা
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. চট্টগ্রাম
  15. চাকুরি
আজকের সর্বশেষ সবখবর

অভিমান করে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

রূপসী বাংলা ২৪.কম
আগস্ট ৫, ২০২৩ ৬:২৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ছোট ভাইয়ের কাছে মুঠোফোন চেয়ে না পেয়ে অভিমান করে আঁখি আক্তার (১৭) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। চিকিৎসার জন্যে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণার পর ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। শুক্রবার (৪ আগস্ট) সকালে এ ঘটনা ঘটে। ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার পশ্চিম বড়ালী গ্রামের প্রবাসী আক্তার হোসেন ও স্বপ্না দম্পতির মেয়ে আঁখি। আঁখি পাশর্^বর্তী চরপাড়া মোহাম্মদিয়া তৈয়্যবিয়া সুন্নিয়া আলিম মাদ্রাসার ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন ও মৃতের স্বজনরা জানান, আঁখির বাবা ৭ বছর পূর্বে তাঁর মাকে রেখে মোবাইল ফোনে সম্পর্ক তৈরি করে রামগঞ্জ উপজেলার ফাতেমা বেগম রুনাকে বিয়ে করে। পরবর্তীতে তাঁর গর্ভধারিণী মা স্বপ্না বেগমের সাথে বাবার বিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের পর থেকে আঁখি আক্তার ও তার ছোট ভাই মোঃ সানী তার নতুন মায়ের কাছে থাকতো। নতুন মায়ের কাছে সে বড় হয়েছে। সম্প্রতি আঁখি জনৈক ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি টের পেয়ে তার মা তাকে মাঝে মধ্যে বকাঝকা করতো। ঘটনার দিন সকালে তার ছোট ভাইয়ের কাছ থেকে মোবাইল ফোন চেয়েছিলো আঁখি আক্তার প্রেমিকের সাথে কথা বলার জন্য। ছোট ভাই মোবাইল না দিলে সে নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। তাকে বারংবার ডাকাডাকি করলেও তার কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে তার চাচাতো ভাই আবু নাঈম (৯) জানালা দিয়ে দেখতে পায় আঁখি আক্তার সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে। পরবর্তীতে তার মায়ের ডাক-চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক আঁখিকে মৃত ঘোষণা করে।
বিষয়টি নিয়ে আঁখির সৎ মা ফাতেমা বেগম রুনা বলেন, সকালে সে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করেছে। মোবাইল নিয়ে কোনো ছেলের সাথে কথা বলে, তাই তাকে মোবাইল দেয়া হইনি। এতে সে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে।
এদিকে খবর পেয়ে আঁখির গর্ভধারিণী মা স্বপ্না আক্তারসহ পরিবারের অন্যান্য স্বজনরা ছুটে আসেন। এ সময় সবাইকে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আহাজারি করতে দেখা যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আশরাফ আহমেদ চৌধুরী বলেন, আঁখি আক্তারকে হাসপাতালে নিয়ে আসার অনেক আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবদুল মান্নান বলেন, খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার পরিবারের দাবি, আঁখি আত্মহত্যা করেছে। ময়না তদন্তের পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও, ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।