ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৫ অক্টোবর ২০২০
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আপন আলোয় উদ্ভাসিত
  6. আরো
  7. এক্সক্লুসিভ
  8. কবিতা
  9. কৃষি ও প্রকৃতি
  10. খুলনা
  11. খেলাধুলা
  12. গণমাধ্যম
  13. চট্টগ্রাম
  14. চাকুরি
  15. চাঁদপুর জেলার খবর

বৃষ্টির পর মিরপুরে মেহেদী–ঝড়

ক্রীড়া প্রতিবেদক
অক্টোবর ১৫, ২০২০ ৬:০৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতারই যেন প্রদর্শনী বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ! তবে আজ তাতে ব্যতিক্রম মেহেদী হাসান।

১২৫ রানে ৮ উইকেট হারানো তামিম একাদশের স্কোরটাকে শেষ পর্যন্ত ভদ্র চেহারা দিয়েছেন মেহেদী। তাইজুল ইসলামের সঙ্গে নবম উইকেটে গড়েন ৮৯ বলে ৯৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ এক জুটি। এই জুটির সৌজন্যেই তামিমরা পেয়েছেন ৯ উইকেটে ২২১ রানের লড়াইয়ের স্কোর। টুর্নামেন্টেও প্রথম কোনো দলের রান দুইশ ছাড়াল।

গত বিপিএলে ঢাকা প্লাটুনের হয়ে মেহেদীর ব্যাটে নিয়মিতই ঝড় উঠেছে। আজ দলের বিপর্যয়ে আরেকবার দেখা গেল ২৫ বছর বয়সী অলরাউন্ডারের স্ট্রোক খেলার সামর্থ্য। প্রচন্ড চাপের মধ্যেও খেললেন ৫৭ বলে ৮২ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। তার আগে ৪৪ বলে করেছেন ফিফটি।

মেহেদী–ঝড়ের হাইলাইটস হচ্ছে সৌম্য সরকারের করা ৪৯তম ওভার। সৌম্যর ওই ওভারেই নেন ২, ৬, ৬, ৪, ৪—২২ রান। পুল শটে ছক্কা কিংবা সামনের পায়ে ব্যাকরণ মেনে তাঁর ড্রাইভগুলো শুধুই মুগ্ধতা ছড়িয়েছে। ৪৯.৪ ওভারে মুকিদুলের বলে বোল্ড হওয়ার আগে স্ট্রোক–ঝলমলে ইনিংসটা সাজিয়েছেন ৯ চার আর ৩ ছক্কায়। মেহেদীর এই ব্যাটিংই বলে দেয় মিরপুরের উইকেট কতটা রানপ্রসবা ছিল আজ। বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে এখন পর্যন্ত সেরা ইনিংসটা দেখা গেল তাঁর ব্যাটেই। সঙ্গী তাইজুল অপরাজিত ছিলেন ২০ রানে।

নাজমুল একাদশের বিপক্ষে টস হেরে আগে ব্যাটিং করা তামিম একাদশের ইনিংসের শুরু থেকেই ছিল ব্যাটসম্যানদের আসা–যাওয়ার মিছিল। বিকেল সাড়ে ৪টায় বৃষ্টিবাধায় ম্যাচ থামার আগে তামিমদের রান ৪০.৩ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৪।

দলীয় ১৪ রানে ওপেনার তানজিদ হাসান ফিরলে অধিনায়ক তামিম ইনিংস লম্বা করার প্রতিজ্ঞা নিয়ে এগোচ্ছিলেন। ৪ বাউন্ডারিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন ৩৩ রানে। ফিফটি তো বটেই, আজ বাঁহাতি ওপেনারের সুযোগ ছিল গত কদিনের ব্যাটিং ক্ষুধাটা মিটিয়ে নেওয়ার। উইকেটও ছিল আগের দুই ম্যাচের তুলনায় কিছুটা ব্যাটিং সহায়ক।

কিন্তু তামিম এদিনও পারেননি বেশি দূর এগোতে। নাঈম হাসানের অফ স্টাম্পের বাইরের বল সামনের পায়ে রক্ষণাত্মক খেলতে গেলে বল ব্যাটের কানা ছুঁয়ে চলে যায় স্লিপে রিশাদ আহমেদের হাতে। বলটা মাটি ছুঁয়েছে কিনা, তামিমের এ প্রশ্ন উড়িয়ে আম্পায়াররা আউটের সিদ্ধান্তেই অটল থাকেন।

এনামুল হক (১২), মোহাম্মদ মিঠুনও (৪) দ্রুত ফিরে যাওয়ার পর শাহাদাত হোসেন চেষ্টা করেছেন ইনিংস মেরামতের। পঞ্চম উইকেটে মোসাদ্দেক হোসেনের সঙ্গে গড়েন ৪০ রানের জুটি।

কিন্তু শাহাদাতও শেষ পর্যন্ত বিলিয়ে দেন নিজের উইকেট। রিশাদের লেগ স্টাম্পের অনেক বাইরের বলে হাঁটু গেড়ে পুল করতে গিয়ে আল আমিনের ক্যাচ হন ৩১ রান করে। বৃষ্টির আগে খেলা থামার আগে তামিমদের রান ৪০.৩ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৪।

১ ঘন্টা ৭ মিনিটের বৃষ্টিবিরতির পর শুরু মেহেদী–ঝড়। ১৪৩.৮৬ স্ট্রাইকরেটে করা ৮২ রানের ইনিংসটিই তামিম একাদশকে এনে দেয় ৯ উইকেটে ২২১ রান। ইনিংস বিরতির আগেই যেন মেহেদী ম্যাচসেরার পুরস্কার পাওয়ার দাবি জানিয়ে রাখলেন। ৪৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে নাজমুল একাদশের সফল বোলার পেসার আল আমিন। অফ স্পিনার নাঈম হাসান ১০ ওভারে ৪ মেডেনে ২৮ রানে পেয়েছেন ২ উইকেট।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।

%d bloggers like this: