ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের জের ধরে ঢাকায় হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার মিরপুর গ্রামের ইব্রাহীম খলিল গুরুতর আহত হন। এ সময় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। জানা যায়, হামলাকারী একই গ্রামের বাসিন্দা হানিফ ঢালীর বড় ছেলে মানিক।
ঘটনার সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়িক মালামাল বিক্রয় করাকে কেন্দ্র করে ইব্রাহীম খলিলের সাথে মানিকের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় মানিক উত্তেজিত হয়ে খলিলের উপর চড়াও হয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হামলায় খলিলের বাম চোখ ৯০ ভাগ নষ্ট হয়েছে বলে জানান চিকিৎসক। এমন ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে উপজেলার মিরপুর গ্রামে উভয়ের মাঝে আবারও সংঘর্ষ হয়। পরে স্থানীয় লোকজন ও থানা পুলিশের সহযোগিতায় বিষয়টি সমাধান হয়েছে বলে দাবি করেন মানিকের ভাই আল-আমিন।
মানিকের বাবা হানিফ ঢালী বলেন, আমার ছেলে আল-আমিনের সাথে খলিলের ভালো সম্পর্ক ছিল। আমার বড় ছেলে মানিকের সাথে মালামাল বিক্রয় করাকে কেন্দ্র করে উভয়ের মারামারি হয়। এ সময় খলিল গুরুতর আহত হয়। পরে আমার ছেলে আল-আমিন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করান এবং তার খোঁজ-খবর রাখেন। কিন্তু গতকাল রাতে তারা ক’জন এসে আমার বাড়িতে হামলা করে। পরে স্থানীয় লোকজন ও থানা পুলিশের সহযোগিতায় সমাধান হয়।
আহত ইব্রাহীম খলিল বলেন, মানিক ঢাকাতে মাল বিক্রয় করাকে কেন্দ্র করে আমাকে মারধর করেছে। আমার চোখ অনেকাংশে নষ্ট হয়ে গেছে। একটা মানুষের চোখ না থাকলে বেঁচে থেকে লাভ কী। সে আমাকে মেরে ফেলার জন্যে পরিকল্পনা করেছে। আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছে। আমরা তার বিচারের জন্য তার পরিবারের কাছে গিয়েছি। কিন্তু তারা উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মারামারি করেছি বলে অভিযোগ দিয়েছে। আমি বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রায়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ দাবি করছি।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।