চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বাজারে গলাকেটে প্রবাস ফেরত স্বামী এমরান হোসেনকে খুনের ঘটনার প্রধান আসামী পরকীয়া প্রেমিক সৈয়দ আশেক এলাহি বাবুকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। এর আগে হাজীগঞ্জে নৃশংস হত্যা কান্ডের ঘটনায় এমরান হোসেনের স্ত্রী ফারজানা বেগম ও পরকীয়া প্রেমিক শাহরাস্তির সৈয়দ আশেক এলাহি বাবুসহ চারজনকে বিবাদী করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের বোন রিনা আক্তার। সোমবার বিকালে নিহত এমরান হোসেন (৪০)কে ফরিদগঞ্জ উপজেলার পূর্ব সুবিদপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের দালাল বাড়ীতে হাজারো মুসুল্লিদের উপস্থিতিতে জানাজার নামাজ শেষে দাফন করা হয়।
গেলো রোববার সন্ধ্যায় হাজীগঞ্জ বাজারের ট্রাক রোডস্থ সার্কেল অফিস সংলগ্ন একটি ভাড়া বাসায় এমরান হোসেন (৪০) নামের প্রবাস ফেরত ওই যুবকের গলাকাটা হয়। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় এমরানের বোন রিনা আক্তার বাদী হয়ে শাহরাস্তি উপজেলার আজগরা মুন্সী বাড়ীর সৈয়দ আলাউদ্দিনের ছেলে সৈয়দ আশেক এলাহি বাবু ও এমরানের স্ত্রী ফারজানা বেগমসহ চারজনকে বিবাদী করে হাজীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন বলে জানান ওসি আবদুর রশিদ।
নিহত এমরান হোসেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের আবুল বাসারের ছেলে। সে দশ বছর সৌদি আরব প্রবাসী। ২ মাসে আগে ছুটিতে বাড়িতে আসে। স্ত্রী ফারজানা বেগম আটক হওয়ার আগে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, তাদের নিকটআত্মীয় আশেক এলাহী বাবু বাসায় ঢুকে আমার স্বামীর সাথে হট্টগোল করে। একপর্যায়ে আমার স্বামীর গলাকেটে পালিয়ে যায়। বাবু তাকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব ও হুমকী ধমকী দিয়ে আসতো। এ বিষয়ে আগেও হাজীগঞ্জ থানা ও পারিবারিক বৈঠক হয়েছিল।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বাজারে গলাকেটে প্রবাস ফেরত স্বামী এমরান হোসেনকে খুনের ঘটনার প্রধান আসামী পরকীয়া প্রেমিক সৈয়দ আশেক এলাহি বাবুকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। এর আগে হাজীগঞ্জে নৃশংস হত্যা কান্ডের ঘটনায় এমরান হোসেনের স্ত্রী ফারজানা বেগম ও পরকীয়া প্রেমিক শাহরাস্তির সৈয়দ আশেক এলাহি বাবুসহ চারজনকে বিবাদী করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের বোন রিনা আক্তার। সোমবার বিকালে নিহত এমরান হোসেন (৪০)কে ফরিদগঞ্জ উপজেলার পূর্ব সুবিদপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের দালাল বাড়ীতে হাজারো মুসুল্লিদের উপস্থিতিতে জানাজার নামাজ শেষে দাফন করা হয়।
গেলো রোববার সন্ধ্যায় হাজীগঞ্জ বাজারের ট্রাক রোডস্থ সার্কেল অফিস সংলগ্ন একটি ভাড়া বাসায় এমরান হোসেন (৪০) নামের প্রবাস ফেরত ওই যুবকের গলাকাটা হয়। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় এমরানের বোন রিনা আক্তার বাদী হয়ে শাহরাস্তি উপজেলার আজগরা মুন্সী বাড়ীর সৈয়দ আলাউদ্দিনের ছেলে সৈয়দ আশেক এলাহি বাবু ও এমরানের স্ত্রী ফারজানা বেগমসহ চারজনকে বিবাদী করে হাজীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন বলে জানান ওসি আবদুর রশিদ।
নিহত এমরান হোসেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের আবুল বাসারের ছেলে। সে দশ বছর সৌদি আরব প্রবাসী। ২ মাসে আগে ছুটিতে বাড়িতে আসে। স্ত্রী ফারজানা বেগম আটক হওয়ার আগে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, তাদের নিকটআত্মীয় আশেক এলাহী বাবু বাসায় ঢুকে আমার স্বামীর সাথে হট্টগোল করে। একপর্যায়ে আমার স্বামীর গলাকেটে পালিয়ে যায়। বাবু তাকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব ও হুমকী ধমকী দিয়ে আসতো। এ বিষয়ে আগেও হাজীগঞ্জ থানা ও পারিবারিক বৈঠক হয়েছিল।
উল্লেখ্য,হাজীগঞ্জ বাজারস্থ হকার্স মার্কেটের পাশে ট্রাক রোডে কথিত পরকীয়া সম্পর্কের কারণে এমরান হোসেনকে হত্যাকারী তার স্ত্রীর কথিত প্রেমিক সৈয়দ আশেক এলাহী বাবুকে খুঁজছে পুলিশসহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। বাবুর পরকীয়া প্রেমিকা ও নিহতের স্ত্রী ফারজানাকে থানায় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত প্রবাসী এমরান হোসেনের বোন রীনা বেগম বাদী হয়ে বাবু ও ফারজানাসহ অজ্ঞাত ক’জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিকে নিহতের লাশের ময়না তদন্ত শেষে তার বাবার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। এ হত্যার মূল আসামী বাবু শাহরাস্তি উপজেলার আজাগরা গ্রামের সৈয়দ বাড়ির সন্তান। ফারজানা ও বাবু সম্পর্কে বেয়াই-বেয়াইন। তাদের পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে একাধিক সালিস হয়েছে বলে মামলার বাদী রিনা জানান।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ জানান, এ ঘটনায় নিহতের বোন বাদী হয়ে মামলা করা হয়েছে। ফারজানাকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মূল আসামী বাবুকে গ্রেফতারে একাধিক টিম কাজ করছে। উল্লেখ্য, ৮ অক্টোবর রোববার রাতে হাজীগঞ্জ বাজারস্থ ট্রাকরোডের ভাড়া বাসায় হত্যার শিকার হন সৌদী প্রবাসী এমরান হোসেন। তিনি স্ত্রী ফারজানাসহ একমাত্র সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকতেন। সেখানেই এ ঘটনা ঘটে। নিহত এমরান হোসেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের দালাল বাড়ির মোঃ আবুল বাশারের ছেলে। তার স্ত্রী ফারজানা বেগম হাজীগঞ্জ উপজেলার জাখনি গ্রামের মৃত জসিম উদ্দিনের মেয়ে।
নিহতের স্ত্রী ফারজানা বেগম জানান, রোববার এশার নামাজের সময় আশেক তাদের বাসায় আসে। এ সময় তার স্বামীর সাথে আশেকের কথা হয়। এরপর তিনি (ফারজানা) টয়লেটে যান, টয়লেট থেকে ফিরে এসে দেখেন আশেক তার স্বামীকে কোপাচ্ছে। এ সময় তাকে বাঁচাতে গেলে আশেক ফারজানাকে আঘাত করে পালিয়ে যায়। ফারজানা জানান, পরে আমি আমার স্বামীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। কর্মরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আশেক তাকে বিরক্ত করতো বলে ফারজানা জানান।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।