বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সকালে দিনব্যাপী ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মামুনুর রশিদ পাঠানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম ফরহাদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম রোমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌলি মন্ডল, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সাইদুল ইসলাম, ফরিদগঞ্জ এআর পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক রফিকুল আমিন কাজল, ফরিদগঞ্জ রোটারী ক্লাবের সভাপতি কামরুল হাসান সাউদ ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম শেখ।
প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি ও অভিষেক উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক নুরুন্নবী নোমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি এমকে মানিক পাঠান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রবীর চক্রবর্তী, আব্দুস ছোবহান লিটন, সহ-সভাপতি মোঃ মহিউদ্দিন, আমান উল্ল্যা আমান, নির্বাহী সদস্য বিল্লাল হোসেন সাগর ও সদস্য নাছির উদ্দিন পাঠান। এর আগে নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটি এবং সকল সদস্যকে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি যুগ্ম সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান অভিষিক্ত করে নেন।
প্রধান অতিথি বলেন, সরকারি চাকুরির আগে থেকেই আমি ব্যক্তিগতভাবে ফরিদগঞ্জবাসীর কল্যাণে কাজ করছি। এখন চাকুরির সুবাদে যোগাযোগটা একটু বেশি হচ্ছে। আমরা যারা সরকারের কর্মচারী তাদের দায়িত্ব হলো জনগণের সেবা করা, তাদের ভালমন্দ খোঁজ-খবর নেয়া, জনগণ যাতে ভালো থাকে, সরকারি সুবিধাগুলো পেতে যাতে কোনো বেগ পেতে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা। এছাড়া নিজ নিজ এলাকার উন্নয়ন বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখলে অবশ্যই দেশ ও জনগণের উপকার হয়। আমি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাথে জড়িত সকল সংবাদকর্মীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, তারা একত্রিত থেকে উপজেলার সমস্যা সম্ভাবনা জনগণের সামনে তুলে ধরছেন। সাংবাদপত্র হলো রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। তাই যেই এলাকার সংবাদকর্মীরা যতবেশি সচেতন এবং জনগণের কথা তুলে ধরবেন, সেই এলাকা ততবেশি উপকৃত হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে অবশ্যই গণমাধ্যমের ভূমিকা অগ্রগণ্য। ৫ লাখ লোকের আবাসস্থল ফরিদগঞ্জ উপজেলা। সাংবাদিকরা যদি তাদের লেখনীর মাধ্যমে জনগণের কল্যাণের কথা তুলে ধরেন, তাহলে অবশ্যই প্রথমে উপজেলাবাসী এবং পুরো দেশ উপকৃত হবে। আমার সাংবাদিকদের কাছে সবুজ হলুদ লাল বুঝি না, আপানারা সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলবেন। তাতেই দেশ ও জনগণ উপকৃত হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, কোনো সংবাদ বিষয়ে যদি সন্দেহের সৃষ্টি হয়, তাহলে এর গভীর গিয়ে আরো তথ্য উদ্ঘাটন করতে হবে। তাহলে আপনাদের সাথে প্রশাসন বা পুলিশ বা ভুক্তভোগীদের আর ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ থাকবে না।
তিনি আরো বলেন, ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের একখণ্ড জমির যেই দীর্ঘদিনের দাবি, আমিও তাদের সাথে একমত। তাদের অধিকার রয়েছে নিজেদের একটি ঘরের। আমি আশা করবো, আজকের বিশেষ অতিথিবৃন্দ এই বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করবেন। আমিও আমার অবস্থান থেকে সহযোগিতার আশ^াস দিচ্ছি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডঃ জাহিদুল ইসলাম রোমান বলেন, আমি সর্বদা নিজেকে সাংবাদিকদের আপনজন হিসেবে মনে করি। ফলে কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই যখন তখন প্রেসক্লাবে ছুটে আসি। আমি নিজে যেমন গণমাধ্যমের সাথে জড়িত থাকার সাথে সাথে আবার নিজের কাজের মাধ্যমেও নিজের সততা ধরে রাখার চেষ্টা করি। ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের একখণ্ড ভূমি বা জায়গার বিষয়ে আমার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।