আজ ভয়াল ২০ আগস্ট। চাঁদপুরের ইতিহাসে শোকাবহ একটি দিন। ১৯৯৪ সালের এই দিনে মেঘনা ও ডাকাতিয়ার মিলনস্থলে তীব্র ঘূর্ণিস্রোতের কবলে পড়ে নিমজ্জিত হয় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চাঁদপুরগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি দিনার-২। এ মর্মান্তিক লঞ্চডুবির ঘটনায় দেড়শ’ যাত্রীর সলিল সমাধি ঘটে। দুর্ঘটনার ২৩ বছর অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু আজো নিমজ্জিত লঞ্চটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। নিহতদের অধিকাংশই শরীয়তপুর জেলার। উদ্ধারকৃত পরিচয়হীন লাশগুলোকে আঞ্জুমানে খাদেমুল ইনসানের তত্ত্বাবধানে চাঁদপুর শহরের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়। ওই সময় নিহতদের তালিকা করা হলেও তারা সরকারি সাহায্য-সহযোগিতা বা ক্ষতিপূরণ কিছুই পায় নি।
স্বজনহারা শরীয়তপুরবাসী এখনো সেই শোকাবহ স্মৃতি ভুলতে পারেন নি। সেই ভয়াল স্মৃতি আজও স্বজনহারাদের কাঁদায়। ২০০৩ সালের ৮ জুলাই রাত পৌনে ১১টায় একই স্থানে পাঁচ শতাধিক যাত্রী নিয়ে এমভি নাসরিন-১ ডুবে যায়। এতে ৩ শতাধিক যাত্রীর মৃত্যু হয়। নিহতদের অধিকাংশই ভোলা জেলার। এ ঘটনায় নিমজ্জিত লঞ্চটিও উদ্ধার সম্ভব হয় নি। ভোলাবাসীর জন্যে এ ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখের।
এখানে উল্লেখ্য যে, মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মিলনস্থলে এখনো তীব্র স্রোত বইছে। নদী শাসন না করায় প্রতিবছর বর্ষায় এ স্থানটি মৃত্যুকূপে পরিণত হয়।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।