পৃথিবীতে মানুষের বসবাসের প্রথম তিন লাখ বছরে মোট জনসংখ্যা হয় এক বিলিয়ন। আর এক বিলিয়ন মানুষ একসঙ্গে পৃথিবীতে বেঁচে আছে—এ অবস্থায় আসতে মানুষের অপেক্ষা করতে হয়েছে ১৮৮৪ সাল পর্যন্ত। বেশি দিন আগের কথা নয়। বছরটা ঘটনাবহুল। সে বছর আবিষ্কৃত হয় ব্যথানাশক মরফিন। এ বছরই ফ্রান্স থেকে স্বাধীনতা লাভ করে হাইতি। এরপর পৃথিবীতে জনসংখ্যা বিস্ফোরণ ঘটে। এই গেল প্রথম এক বিলিয়নের গল্প।
শেষ এক বিলিয়ন মানুষ পৃথিবীতে জন্ম নিয়েছে মাত্র ১২ বছরে। বারাক ওবামার দ্বিতীয় দফা প্রেসিডেন্সির সময় থেকে ২০২২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত। তিন লাখ বিলিয়ন বছর লেগেছিল প্রথম বিলিয়ন হতে। অষ্টম বিলিয়ন হতে সময় লাগল মাত্র ১২ বছর। গত বছরের নভেম্বরের মাঝামাঝি জাতিসংঘ ঘোষণা দেয়, পৃথিবী এখন আট বিলিয়ন মানুষের গ্রহ। এ জন্য অবশ্য গুনে দেখতে হয়নি। জনসংখ্যার বিজ্ঞানভিত্তিক অনুমানের ওপর ভিত্তি করে জাতিসংঘ এ হিসাব করেছে। ২০২২ সালের ১৫ নভেম্বরকে ঘোষণা করেছে ‘আট বিলিয়ন দিবস’ হিসেবে।
মানুষের একদম সঠিক সংখ্যা বলা সম্ভব নয়। কারণ, বিশ্বের বিভিন্ন অংশে জনশুমারির তথ্য কয়েক দশক পুরোনো। তবে জাতিসংঘের এ ঘোষণায় ভুল নেই। সত্যিই পৃথিবীর জনসংখ্যা পৌঁছে গেছে আট বিলিয়নে।
উন্নত স্বাস্থ্যসেবা, বিশুদ্ধ পানি ও পয়োনিষ্কাশন–ব্যবস্থার উন্নতির জন্য মানুষ বেশি দিন বাঁচছে। রোগের প্রকোপ কমেছে। সার ও সেচ ফসলের ফলন ও পুষ্টি বাড়িয়েছে। অনেক দেশে বেশি শিশু জন্ম নিচ্ছে। মারা যাচ্ছে অনেক কম মানুষ।
বিশ্বের জনসংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে হাজির হয়েছে নতুন চ্যালেঞ্জ। দূষণ বেড়েছে। অতিরিক্ত মাছ ধরায় সাগরের অনেক এলাকা ধ্বংস হয়েছে। বিলুপ্ত হচ্ছে বন্য প্রাণী। জলবায়ু পরিবর্তিত হচ্ছে দ্রুত। জীবাশ্ম জ্বালানির বহুল ব্যবহারে জীববৈচিত্র্য, খাদ্যনিরাপত্তা ও পানির প্রাপ্যতা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে উঠছে। এসবই ঘটছে মানুষের কারণে।
জনসংখ্যা যে অনুপাতে বৃদ্ধি পায়, একই অনুপাতে সম্পদ তৈরি হয় না। ভবিষ্যতে অতিরিক্ত জনসংখ্যা তাই মানুষের ভবিষ্যতের বড় নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠতে পারে। ক্ষুধা বৃদ্ধি ও দুর্ভিক্ষ মানুষের জন্য নতুন কিছু নয়। অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের মতে, দুর্ভিক্ষ শুধু খাদ্যের অভাব থেকে হয় না; বরং খাদ্যবণ্টনে বৈষম্য ও অসমতা থেকেও দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি হয়। এলাকাভেদে জনসংখ্যা একই হারে কমে-বাড়ে না। আবার অর্থনৈতিক অবস্থা অঞ্চলভেদে ভিন্ন। তাই নতুন বিলিয়ন মানুষের জন্য খাদ্য নিশ্চিত করা নাকি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ—কোনটি হবে ভবিষ্যতের নীতি? কোন খাত বেশি গুরুত্ব পাবে, সেটাই এখন মূল প্রশ্ন।
৮ বিলিয়ন থেকে বেড়ে মানুষের সংখ্যা ৯ বিলিয়ন হতে সময় লাগবে আনুমানিক ১৫ বছর। জাতিসংঘের জনসংখ্যাবিদেরা এই শতাব্দীতে বিশ্বের জনসংখ্যা ১০ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে বলে অনুমান করেছেন। দেশগুলো এখন পর্যন্ত বিশ্ব জনসংখ্যার সমস্যাগুলোর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পেরেছে। তবে জলবায়ু পরিবর্তন একটি বড় হুমকি। জনসংখ্যা নীতির পরিবর্তনজনিত সমস্যায় এটি প্রভাবিত হতে পারে। কিন্তু ভবিষ্যতে কী হবে?
আট বিলিয়ন মানুষ পৃথিবীতে একসঙ্গে বেঁচে থাকায় জনসংখ্যার দিক থেকে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। বর্তমানে বিশ্ব একই সঙ্গে বিপুল জনসংখ্যা বিস্ফোরণ এবং ধসে পড়ার আশঙ্কার মুখোমুখি।
দুই হাজার বছরের মধ্যে গত বছর প্রথম চীন পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে অবস্থান হারিয়েছে। ভারত জনসংখ্যার দিক থেকে ছাড়িয়ে গেছে চীনকে। ১৯৮০ সালে চীন এক সন্তান গ্রহণ নীতি কার্যকর করে। এর আগের দশকেই অবশ্য ‘এক দশকে জন্মহার’ অর্ধেকে নেমে গিয়েছিল। উন্নত শিক্ষা ও কর্মজীবনের ক্রমবর্ধমান সুযোগের সঙ্গে নারীরা সন্তান জন্ম দিতে দেরি করেছেন। আবার কিছু গবেষণা বলছে, নারীদের সন্তান জন্মদানের ক্ষমতাও হ্রাস পাচ্ছে নানা কারণে।
১৯৫০ সালে চীন ছিল বেশির ভাগ গ্রামীণ এলাকাবিশিষ্ট একটি বড়, দরিদ্র দেশ। যেখানে উচ্চ প্রজনন হার ছিল। ১৯৫৯ থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত ফসল নিয়মিত না হওয়ায় গ্রেট চৈনিক দুর্ভিক্ষের দিকে এগিয়ে যায় দেশটি। ফলে লাখ লাখ লোক মারা যায়। ১৯৭০ সালে চীনের জনসংখ্যা ছিল ৮০০ মিলিয়নের বেশি। ১৯৮০ সালে এক সন্তান নীতি বেছে নেয় চীন। দেশটির জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধের জন্য এ নীতি প্রবর্তন করা হয়। ১৯৮৭ সালে চীনের কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশের ওপরে ছিল। কিন্তু ১৯৯১ সালে জন্মহার মৃত্যুহারের তুলনায় কমে যায়।
পৃথিবীজুড়ে কোভিড মহামারি চলাকালে জন্মহার কমতে দেখা গেছে। ২০১৫ সালের তুলনায় ২০২০ সালে ৪৫ শতাংশ কম শিশু জন্মগ্রহণ করেছে। চীনের জন্মহার এখন যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় অনেক কম। তবে কিছু অঞ্চলে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার অন্যদের তুলনায় অনেকটা বেশি। আফ্রিকায় সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে জনসংখ্যা—২৫ শতাংশের বেশি। পূর্ব এশিয়ায় আগের কয়েক দশকে দ্রুতগতিতে জনসংখ্যা বাড়লেও গত এক দশকে মাত্র ৪ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে।
চীনের এক সন্তান নীতি শেষ হয় ২০১৬ সালে। এরপর ২০২১ সাল পর্যন্ত চীনা দম্পতিরা তিন সন্তান নেওয়ার অনুমতি পান। ২০২১ সালে যত খুশি সন্তান নেওয়া যাবে—এ নীতিতে ফেরে দেশটি। চীনের অনেক দম্পতি এখন আর সন্তান নিতে চান না। কারণ, এক জোড়া মানুষের প্রত্যেকের একজন বাবা ও একজন মা আছেন। আবার এই মা–বাবার প্রত্যেকের ওপরে আরও একজন মা -বাবা আছেন। যাঁদের দেখাশোনা ও প্রতিপালনে দায়িত্ব এই দম্পতির। একটি নতুন শিশু লালন–পালনে খরচের কারণে বয়স্ক মানুষ পরিবারে থাকায় তাঁদের জন্য মানিয়ে নেওয়া কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়।
চীনের মানুষের গড় কাঙ্ক্ষিত আয়ু অন্যান্য দেশের তুলনায় ওপরের দিকে। প্রায় ৭৯ বছর। দেশটির মোট জনসংখ্যা ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন। এ সংখ্যা ইতিমধ্যে কমতে শুরু করেছে। এক দশক ধরেই তাদের জনবল কমছে। এর পেছনে আছে সেই এক সন্তান নীতি। চীনে প্রত্যেক অবসরপ্রাপ্ত মানুষ বা শিশুকে লালন–পালন করে মাত্র দুজন কর্মক্ষম ব্যক্তি। নেচার-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ২৫ বছরে দেশটিতে ৬০ বছরের বেশি বয়সী মানুষ হবে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন। সরকার এসব মানুষের দেখভাল করতে গিয়ে চাপে পড়বে। স্বাস্থ্যসেবার খরচ বেড়ে হবে দ্বিগুণ।
অন্যদিকে আফ্রিকায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। যেমন নাইজেরিয়া। দেশটিতে জন্মহার কমছে। কিন্তু চীনের তুলনায় জন্মহার ২০ গুণ বেশি। নাইজেরিয়ানদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে। দেশটির লাখ লাখ মানুষ ক্ষুধার্ত জীবন কাটানোর ঝুঁকিতে রয়েছে।
১৯৬৮ সালে যখন পৃথিবীতে সাড়ে তিন বিলিয়ন মানুষ ছিল, তখন জীববিজ্ঞানী পল এহরলিচ তাঁর বই দ্য পপুলেশন বোম্বেতে অতিরিক্ত জনসংখ্যা বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এরপর কয়েক মিলিয়ন মানুষ দুর্ভিক্ষে মারা যায়। পরে কৃষিতে সবুজ বিপ্লব সংঘটিত হয়। সার, কৃষিযন্ত্র ও উচ্চফলনশীল ফসল বদলে দেয় কৃষিকে।
খাদ্যনিরাপত্তা ক্রমে বাড়তে থাকা জনসংখ্যার জন্য উদ্বেগের বিষয়। জন্মহার কমানোর সবচেয়ে বড় চালক শিক্ষা। বিশেষ করে নারীদের জন্য। এক দশক আগে গবেষকেরা নির্ধারণ করেন, শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধির ফলে শতাব্দীর মাঝামাঝি বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধি এক বিলিয়ন কম হতে পারে। পরের কয়েক দশকে শিক্ষার সুযোগ কী পরিমাণে এবং কত দ্রুত প্রসারিত হবে, তা নির্ধারণ করে দেবে ২১০০ সালে কতজন পৃথিবীতে বাস করবে। এ পদ্ধতি জটিল। তবে গবেষকেরা মনে করেন, ২০৫০ সালে পৃথিবীতে যাঁরা বেঁচে থাকবেন, তার বেশির ভাগ মানুষ জন্ম নিয়ে ফেলেছেন। আর আজ যাদের বয়স পাঁচ বছর, আশা করা যায় তারা মোটামুটি ১০০ বছর বাঁচবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও উন্নত পরিস্থিতি তাদের কাঙ্ক্ষিত জীবনসীমা বাড়িয়ে তুলবে।
গবেষকেরা আগের ঘটনাগুলোর ওপর ভিত্তি করে মনে করেন, শিগগিরই আরেকটি মারাত্মক মহামারি দেখা দিতে পারে। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের মতো সংকট থাকলেও জনসংখ্যাবিদদের কেউ এ শতাব্দীর মাঝামাঝি পর্যন্ত পৃথিবীব্যাপী ব্যাপক মাইগ্রেশনের সম্ভাবনার কথা বলেন না। তবে বেশির ভাগ বিশেষজ্ঞ মনে করেন, তখন পর্যন্ত জনসংখ্যা হবে প্রায় ৯ বিলিয়ন।
কয়েক বছর আগে জাতিসংঘ অনুমান করে, ২১০০ সালের মধ্যে বিশ্বের জনসংখ্যা হবে ১১ বিলিয়ন। এ বছরের শুরুর দিকে এ অনুমান সংশোধন করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, জনসংখ্যা হবে ১০ দশমিক ৪ বিলিয়ন। কৃতিত্বটা প্রতি পরিবারে জন্ম নেওয়া শিশুদের গড় সংখ্যা হ্রাস হওয়ার দিকে যায়। ২০১৮ সালে ভিয়েনার ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর অ্যাপ্লায়েড সিস্টেমস অ্যানালাইসিসের গবেষকেরা অনুমান করেন, ২০৭০ সালে জনসংখ্যা বেড়ে ৯ দশমিক ৭ বিলিয়ন হতে পারে। এরপর শতাব্দীর শেষ নাগাদ প্রায় ৯ বিলিয়নে নেমে আসবে। তাঁরা মনে করেন, এটি শুধু প্রজনন সক্ষমতার ওপর নির্ভর করে না। শিশুমৃত্যুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সঙ্গেও এর সম্পর্ক আছে।
অন্যদিকে সিয়াটলের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিকস বলছে, ২০৬৪ সালে জনসংখ্যা প্রায় ৯ দশমিক ৭ বিলিয়ন হতে পারে। শতাব্দীর শেষ নাগাদ কমে ৮ দশমিক ৮ বিলিয়নে নেমে যাবে। বুলগেরিয়া, স্পেনসহ প্রায় দুই ডজন দেশে জনসংখ্যা অর্ধেকে নেমে যেতে পারে।
আবার সম্প্রতি আর্থ ফর অল কালেকটিভ নামে পরিবেশবিজ্ঞানী ও অর্থনীতিবিদদের একটি সংগঠন দাবী করেছে, উন্নত শিক্ষা, লিঙ্গসমতা ও পরিবেশবান্ধব মূল্যবোধ গড়ে তুললে জনসংখ্যার বৃদ্ধি কমবে। সে ক্ষেত্রে ২১০০ সালের দিকে জনসংখ্যা হতে পারে ৬ বিলিয়ন। এভাবে গবেষকেরা ভবিষ্যতে জন্মের হার অনুমানের চেষ্টা করছেন।
মডেলগুলোর মধ্যে পার্থক্য আছে। তবে গবেষকেরা একমত, ভবিষ্যতের জনসংখ্যার অনুমানগুলো জলবায়ু পরিবর্তনকে পুরোপুরি বিবেচনায় নেয়নি। জলবায়ু পরিবর্তনের হার নির্ভর করে পৃথিবীবাসী কত দ্রুত গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমায়, তার ওপর। ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, শরনার্থীদের স্রোতসহ অনেক বিষয় বিবেচনায় না নিয়েই নিয়ে জনসংখ্যার অনুমান করা হচ্ছে। এতে অনুমান সঠিক হচ্ছে না পুরোপুরি।
যেহেতু এ শতাব্দীর শেষার্ধে জনসংখ্যা বৃদ্ধি চূড়ায় উঠবে, তাই শতাব্দী শেষ হওয়ার আগেই জনসংখ্যা কমতে থাকবে। গবেষকেরা একমত, বিশ্বের জনসংখ্যা সম্ভবত শতাব্দীর শেষের আগে শীর্ষে উঠবে। আর এ জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি এশিয়া ও আফ্রিকার মাত্র আটটি দেশ থেকে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। দেশগুলো হলো পাকিস্তান, ফিলিপাইন, ভারত, মিসর, ইথিওপিয়া, তানজানিয়া, নাইজেরিয়া ও কঙ্গো। আর শতাব্দীর শেষ নাগাদ থাইল্যান্ড, স্পেন, জাপানসহ প্রায় দুই ডজন দেশে জনসংখ্যা অর্ধেকে নেমে যেতে পারে। তাই দুটি দেশ থেকেই অনেক কিছু শেখার আছে। চীন ও নাইজেরিয়া হলো সেই দুটি দেশ। তারা এখন নতুন বাস্তবতার মুখোমুখি।
লেখক: বিজ্ঞান সংগঠক
সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস, ইউএন ওয়েবসাইট ও ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।