চাঁদপুর শহরের কুমিল্লা রোডস্থ মিয়া ম্যানশন ভবনের নীচতলায় অগ্নিকাণ্ডে ৫-৭ টি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান পুড়ে প্রায় ২৫ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ২৪ জুলাই দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে চাঁদপুর শহরের কালীবাড়ি এলাকায় কুমিল্লা রোডস্থ বহুতল ভবন মিয়া ম্যানশনের নীচতলার পেছনের অংশে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
স্থানীয় প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানান, উক্ত ভবনের নীচতলার পিছনের অংশ অর্থাৎ মার্কেটের উত্তর অংশে ব্যবসায়ীদের বেশ কিছু গোডাউন রয়েছে। এ সকল গোডাউনগুলোর মধ্যে আরএফএল গ্রুপের ওয়াকার ফুটওয়্যার নামক জুতার দোকানের গোডাউনে আগুন দেখে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পাশাপাশি আগুনের খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশের একটি দলও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বহুতল ভবন মিয়া ম্যানশনের ৩টি জুতার দোকানের গোডাউন রয়েছে। এই ৩টি গোডাউনের প্রথম গোডাউন থেকে বৈদ্যুতিক শর্ট শার্কিটে যে কোনো একটি থেকে আগুনের প্রথম সূত্রপাত হয়। তবে আগুনের সূত্রপাত যে উক্ত জুতার গোডাউন থেকে হয়েছে এটি প্রায় নিশ্চিত হয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারাও। কারন গোডাউনগুলো পাশাপাশি হওয়ায় আগুনের সূত্রপাত হয়ে একে একে ৩টি গোডাউনের সকল মালামাল আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পাশাপাশি হক ফামেসীর ঔষধের গোডাউন, বিসমিল্লাহ গার্মেন্টস ও মায়ের দোয়া নামক টেইলার্সের বেশ ক্ষতি হয়। এছাড়াও আশপাশের বেশকটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানেরও কম-বেশী ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে আগুনে ব্যবসায়া প্রতিষ্ঠানগুলোর কী পরিমাণ ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে তা পুরো পুরি নির্ধারণ করতে সময় লাগবে বলে জানা গেছে।
এদিকে ঘটনার পর স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, এটি একটি অপরিকল্পিত অগ্নিকাণ্ড। ভবন মালিক আর্থিক লাভবান হওয়ার জন্য নীচের অংশে অর্থাৎ পিছনের দিকে এতোটাই অপরিকল্পিতভাবে বেশ কিছু রুম করে তা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে গোডাউন হিসেবে ভাড়া দিয়েছেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যেভাবে রুম করা হয়েছে একজন মানুষ হাঁটা চলার জায়গা পর্যন্ত নেই। তবে ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের বুদ্ধিমত্তা দিয়ে পুরো আগুন নেভাতে সক্ষম হন। যদিও প্রথম অবস্থায়েআগুন নেতাতে তাদের অনেকটা হয়। পরে কৌশল অবলম্বন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অপরদিকে আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে শত শত জনতা ভীড় করে। কিন্তু পুলিশের কড়া ব্যারিকেডে উৎসুক জনতা ভীড় জমাতে ব্যর্থ হয়। এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চাঁদপুরের সহকারী উপ-পরিচালক মোরশেদ হোসেন বলেন, ঘটনার ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ এই মুহুর্তে বলা সম্ভব নয়। এটি তালিকা করে তারপর বলতে পারবো। তবে তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন, ভবনটির নীচে বা ঘটনাস্থলে যেভাবে গোডাউন বা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো করা হয়েছে, এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। এভাবে করা হলে ভবিষ্যতে আরো ভয়াবহ দূর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সকল কে এ সকল বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।