ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের বৈচাতরী এলাকার সড়ক যোগাযোগ দুরবস্থার কারণে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা ডিঙ্গি নৌকা। রাস্তা না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী, হাসপাতালগামী রোগী, জুমার মসজিদের মুসল্লিসহ স্থানীয় ক’টি বাড়ির বাসিন্দারা।
শুষ্ক মৌসুমে কৃষি জমির সীমানা (আঞ্চলিক ভাষায় আইল) দিয়ে চলাচল করতে পারলেও বর্ষার মৌসুমে কৃষি জমিগুলো পানিতে ডুবে যায়। তখন আর হেঁটে চলার উপায় থাকে না। বহু বছর ধরে স্থানীয়রা রাস্তা নির্মাণের দাবি করলেও অদ্যাবধি কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। বছরের পর বছর নৌকা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে স্থানীয় লোকজনকে। তাই এ এলাকার পঞ্চাশটি পরিবারের প্রায় ৫শ’ মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা ডিঙ্গি নৌকা।
সরজমিনে দেখা যায়, বৈচাতরী গ্রামের একটি অংশে প্রায় ৫শ’ মানুষের বসবাস। চারদিকে অথৈ পানি। বসতবাড়ি থেকে বের হয়ে সরকারি রাস্তার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় জরুরি চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেকে। শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো যাতায়াত করতে পারছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
স্থানীয় বাসিন্দা ইদ্রিস মিয়া (৫০), আবুল কালাম (৬০) ও তৈয়ব আলী (৫৬)সহ বেশ ক’জন জানান, শীতের সময় জমির আইল দিয়ে আমরা কোনোমতে পায়ে হেঁটে চলাচল করতে পারি। বর্ষার মৌসুম এলে প্রায় ৩ থেকে ৪ ফুট পানি থাকে। তাই নৌকা ছাড়া চলাচল করতে পারি না। রাস্তা না থাকার কারণে আমাদের মেয়ে-ছেলেদের ভালো জায়গায় বিয়েও দিতে পারি না। আমাদের রাস্তা পারাপারের দুর্ভোগ শেষ হচ্ছে না। চেয়ারম্যান-ইউপি সদস্যদের জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান পাটওয়ারী বলেন, আমি দেড় বছর পূর্বে চেয়ারম্যান হয়েছি। বিষয়টি আমি অবগত নই। খোঁজখবর নিয়ে তাদের জন্যে ভালো কিছু করার চেষ্টা করবো।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।