কয়েকবার সতর্ক করার পরও যেসব বাসা-বাড়ি এবং সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে তাদের পানির লাইনসহ সব ধরনের ইউলিটির লাইন কেটে দেওয়ার মত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। বুধবার সচিবালয়ে ডেঙ্গু ও অন্যান্য মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে গৃহীত কার্যক্রম পর্যালোচনার লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম। বিকেলে স্থানীয় সরকার বিভাগ সম্মেলন কক্ষে দেশে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী এবং মৃতের সংখ্যা বাড়ার প্রেক্ষিতে জরুরি এই আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার আয়োজন করা হয়। এতে সিটি কর্পোরেশনসমূহ কর্তৃক মশক নিধনে বিগত সময়ে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ, আক্রান্ত ডেংগু রোগীদের চিকিৎসা সেবা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এ সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী, ডেংগুর লার্ভা পাওয়ার পরও যেসব সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বাসা বাড়ির লোকজন সচেতন হননি, সরেজমিনে গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে মেয়রদের নির্দেশনা দিয়েছেন।
মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গিয়েছে তাদের নাম গণমাধ্যমে প্রকাশ করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি এ বিষয়ে সবাইকে আরো সচেতন ও সতর্ক হওয়ার আহবান জানান।
মন্ত্রী বলেন, নির্মানাধীন ভবনও মশা জন্মানোর জায়গা। এসব নির্মানাধীন ভবনের মালিকদের সতর্ক করা হয়েছে। এরপর না শুনলে জরিমানা, আইনগত ব্যবস্হা এবং সর্বশেষে এসব ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকবে।
স্হানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত ভারতসহ মালেশিয়া, ফিলিপাইন এবং সিংগাপুরের থেকে বাংলাদেশের ডেংগু পরিস্থিতি ভালো আছে। পরিস্থিতি ভয়াবহতার দিকে যায়নি। সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে আরও কঠোর নজরদারি বাড়াতে নির্দেশনা দেওয়ার জন্যই আজকের এই সভা বলে জানান তিনি।
তিনি যাদেরই ডেংগু হচ্ছে তারা যেন বাসায় না থেকে হাসপাতালে ভর্তি হোন সেই আহবান জানান। এ সময় তিনি সব সরকারি হাসপাতালে সীটের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছেও বলে জানান। মন্ত্রী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ছাত্রছাত্রীদের সচেতন করার উপরও গুরুত্ব আরোপ করেন। এছাড়াও সভায় বিটিআরসির মাধ্যমে সকল মোবাইল গ্রাহকের কাছে ডেঙ্গু সচেতনতামূলক মেসেজ পাঠানোরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম এ সময় জানান , গত ১১ দিনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় মশার লার্ভা পাওয়ার বিভিন্ন বাসা বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানকে ১ কোটি ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান। এছাড়াও স্থানীয় সরকার বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।