বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ)’র কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফরিদগঞ্জ উপজেলায় এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবিতে ক্লাস বর্জন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসেও ক্লাস না চলার কারণে বাড়িতে ফিরে যায় শিক্ষার্থীরা। কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফটকে তালা মেরে বাইরে বসে অবস্থান ধর্মঘট পালন করতে দেখা যায় শিক্ষকদের। উপজেলার ৫১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৮ জুলাই মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের পাঠদান বন্ধ রেখে একযোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
উপজেলার খাজুরিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, সন্তোষপুর উচ্চ বিদ্যালয়, পূর্ব বড়ালী শাহজাহান কবির উচ্চ বিদ্যালয়, চান্দ্রা আব্দুল হাকিম চৌধুরী মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শাহাপুর সোনালী বালিকা বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা যায়, এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস বর্জন করে শিক্ষকগণ তাদের মিলনায়তনে বসে সময় কাটাচ্ছেন, কেউ বিদ্যালয়ের ফটকে তালাবদ্ধ করে সামনে বসে আছেন, আবার কেউ বিভিন্ন দাবি উপস্থাপন করে বক্তব্য দিচ্ছেন। আবার অনেকেই কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে ঢাকায় যাত্রা করেছেন।
এদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে খোশগল্পে মশগুল। আবার কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে না পেরে বাড়িতে চলে যায়। বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে তালা থাকায় বিপাকে পড়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। অনেক শিক্ষার্থীকে দোকানপাটে আড্ডা দিতেও দেখা যায়।
শিক্ষার্থী হাবিবা ইসলাম (১৪), রাকিব হোসেন (১৩) ও রবিউল আলম (১৫)সহ কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা হলে তারা জানান, আমরা স্কুলে এসে দেখি তালা মারা, তাই বাড়িতে ফিরে যাচ্ছি।
পূর্ব বড়ালী শাহজাহান কবির উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নেছার আহম্মদ পাটওয়ারী জানান, আমাদের বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ করা হয়েছে। তাই ক্লাস বন্ধ ছিল। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমাদেরও স্কুল খোলা থাকবে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস বর্জন থাকবে।
শাহাপুর সোনালী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম মিজানুর রহমান জানান, আমরা গতকাল ১৭ জুলাই সোমবার পর্যন্ত ক্লাস চালিয়েছি। আজকে থেকে আমাদের ক্লাস বর্জন কর্মসূচি চলছে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আমাদের এ কর্মসূচি চলবে।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির ফরিদগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি ও কালিবাজার মিজানুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, আমাদের সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ রেখে আমরা কর্মসূচি পালন করছি। তিনি বলেন, এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোকে জাতীয়করণের ঘোষণা না আসা পর্যন্ত এই কর্মসূচি অনির্দিষ্টকালের জন্য চলমান থাকবে অথবা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা পরবর্তী কর্মসূচী পালন করবো ।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান, শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষকেরা। বিষয়টি শিক্ষক সমিতির নেতারা আমাকে জানিয়েছে। আমিও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।