পবিত্র ঈদুল আজহার সময় বাজারে সরবরাহ সংকটের অজুহাতে হঠাৎ লাগামহীন হয়ে ওঠে কাঁচা মরিচের দাম। রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ৩০০-৩৪০ টাকা পর্যন্ত উঠে যায়। তবে সরবরাহ বাড়ায় বর্তমানে পাইকারি ও খুচরায় প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা পর্যন্ত কমে বিক্রি হচ্ছে। রোববার (২৩ জুন) রাজধানীর বাড্ডা ও জোয়ারসাহারা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরায় ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচ ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারিতে পাল্লায় (পাঁচ কেজি) ২৫০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে। যার কারণে খুচরায় ৫০ টাকা পর্যন্ত কমিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। ক্রেতারা বলছেন, বাজারে কাঁচা মরিচ সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই, ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। বাজারে সরকারের নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলোর কোনো তদারকি না থাকায় এমনটি হচ্ছে বলেও ভোক্তারা জানান।
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে আমদানি
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে কাঁচা মরিচ আমদানি। এখন প্রতিদিনই বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি হচ্ছে। আমদানিকারকরা বলছেন, আমদানীকৃত কাঁচা মরিচের চেয়ে দেশি কাঁচা মরিচের দাম কম। মোকামগুলোতে সরবরাহ বেড়েছে, তাই দেশি কাঁচা মরিচের দাম কমে আসছে।
রোববার বেলা ১১টায় হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত শনিবার মানভেদে দেশি কাঁচা মরিচ ১৬০-১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও গতকাল সেই দাম কমে ১০০-১২০ টাকায় পাইকারিতে বিক্রি হয়। আর খুচরায় বিক্রি হয় ১৪০ টাকা কেজি। বন্দরে আমদানি হওয়া কাঁচা মরিচ মানভেদে ১৩০-১৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়।
হিলি বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রেতা শেখ বিপ্লব বলেন, কোরবানি ঈদের আগে মোকামগুলোতে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দেশি কাঁচা মরিচের দাম বাড়ে। ঈদের পর থেকে দাম কমতে শুরু করেছে। আজ আমি পাঁচবিবি ও বিরামপুর বাজার থেকে পাইকারি কিনেছি ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে। আর খুচরা বিক্রি করছি মানভেদে ১০০-১২০ টাকা কেজি দরে।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।