চাঁদপুরে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও খাদ্য সামগ্রীতে ভেজাল প্রতিরোধে সংশ্লিষ্টদের পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরাম (এমএএফ)। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এক মতবিনিময় সভায় এ আহ্বান জানানো হয়।
৪ মার্চ সোমবার বিকেলে চাঁদপুর প্রেসক্লাব ভবন এলিট চাইনিজ এন্ড রেস্টুরেন্টে ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও খাদ্যসামগ্রীতে ভেজাল প্রতিরোধে নাগরিক মতবিনিময় সভা শীর্ষক অনুষ্ঠান থেকে এই আহ্বান জানানো হয়।
এতে ব্যবসায়ী সমিতি, হোটেল মালিক সমিতি, ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর, যুব সংগঠন এবং আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
মাল্টি পার্টি এডভোকেসি ফোরাম (ম্যাফ) চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মোঃ মুনির চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মাসুদ উল আলম (রনি), প্রচার সম্পাদক শরিফ হোসেন পাটওয়ারী ও কোষাধ্যক্ষ নাহিদা সুলতানা সেতুর যৌথ পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ নূর হোসেন, চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক মীর, চাঁদপুর জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ বদরুল আলম, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডঃ জহিরুল ইসলাম, মাল্টি পার্টি এডভোকেসি ফোরাম (ম্যাফ) চাঁদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু নাছের বাচ্চু পাটওয়ারী, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপিকা মাসুদা নূর খান, জেলা মহিলা দলের সভাপতি অ্যাডঃ মুনিরা চৌধুরী, জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক হযরত আলী, জেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ খোকন, জেলা মহিলালীগের নেত্রী নূরজাহান কুমকুম, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ বাহার, পালবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হারুনুর রশিদ পাটওয়ারী, সাধারণ সম্পাদক সফর উদ্দিন মাস্টার মোল্লা, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের কুমিল্লা জোনাল অফিসার আবুল বাশার, যুব সংগঠন তারুণ্যের অগ্রদূত চাঁদপুরের ভিভিয়ান ঘোষ।
বক্তারা বলেন, পবিত্র রমজান উপলক্ষে চাঁদপুর জেলায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর অসৎ পদক্ষেপের কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং খাদ্যে ভেজাল মিশ্রনের ফলে সাধারণ মানুষের নিত্য ভোগান্তি হচ্ছে বলে অভিযোগ জানতে পেরেছে মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরাম (এমএএফ)। এরই প্রেক্ষিতে জনভোগান্তি নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়বদ্ধতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে চাঁদপুরের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত এমএএফ।
ইউএসএআইডির অর্থায়নে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশন্যাল পরিচালিত স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ (এসপিএল) প্রকল্প এই উদ্যোগের সহায়তা করেছে।
তারা বলেন, পবিত্র রমজান মাসে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ইফতার ও নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীর মূল্য হঠাৎ করে বেড়ে গেছে, অতি মুনাফার আশায় কিছু কিছু হোটেল ও রেস্তোরাঁতে ভেজাল মেশানোর প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এ অবস্থায় ভোক্তাদের সচেতনতার পাশাপাশি বাজার মনিটরিং, সৎ ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা, অসৎ ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনা এবং প্রশাসনকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদ দেয়া হয়। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোকে একসাথে কাজ করারও আহ্বান আসে গোলটেবিল আলোচনা থেকে। বক্তারা বলেন, আমরা সবাই ভোক্তা, আবার আমরা সবাই এ দেশের নাগরিক। আপনি ব্যবসায়ী হয়ে খাদ্যে ভেজাল করছেন, আবার ভোক্তা হয়ে ভেজাল পণ্য ক্রয় করছেন। তাহলে আপনি ও আপনার পরিবার ভেজাল খাদ্য গ্রহণ করছেন। একটি সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সকলে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। ফরমালিন ছাড়া কোন আড়তে কলা বিক্রয় হয় না।
বক্তারা আরও বলেন, আমাদের কৃষকদের বাঁচাতে হবে। কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ে কোনো ধরনের সিন্ডিকেট করা যাবে না। সকলকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। অহেতুক প্রতিযোগিতা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। ভোক্তার অধিকার ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে ভোক্তা অধিদপ্তর। দিনদিনই মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনছে ভোক্তা অধিদপ্তর। দেশকে বাঁচাতে হবে। আমাদের মধ্যে দেশপ্রেম থাকতে হবে। সকলের সহযোগিতায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও খাদ্য সামগ্রীতে ভেজাল প্রতিরোধে কাজ করতে হবে। তাহলে সুন্দর একটি চাঁদপুর নির্মাণ হবে।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।