বাংলাদেশের শীর্ষ করদাতা চাঁদপুরের কৃতী সন্তান প্রবীণ ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক দানবীর হাজী মোঃ কাউছ মিয়ার মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত মরহুমা হাজী ফাতেমা খাতুন ফোরকানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ি ও সনদ প্রদান করা হয়েছে।
১ মার্চ শুক্রবার বাদ এশা চাঁদপুর শহরের স্ট্র্যান্ডরোডস্থ মাদ্রাসা মসজিদে ৪৫জন ছাত্রের মধ্যে ছয়জনকে পাগড়ি প্রদান করা হয়েছে। এ উপলক্ষে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান মেহমান হিসেবে হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ি পরিয়ে দিয়ে তাদের হাতে সনদ ও নগদ অর্থ তুলে দেন এবং দোয়া ও মোনাজাত করেন চাঁদপুর বড় স্টেশন রেলওয়ে মাদ্রাসার মোহতামেম আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম।
এ সময় তিনি বলেন, কোরআনে হাফেজরা আলোর দিশারী। আল্লাহ তাদের অন্তরে কোরআনের প্রতিটি অক্ষর গেঁথে দিয়েছেন। তাঁদের মধুর কণ্ঠে কোরআনের আয়াত মুসল্লিদের মুগ্ধ করবে। তাঁদের দেখে সবাই কোরআন শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হবে।
উক্ত দোয়া অনুষ্ঠানে হাজী মোঃ কাউছ মিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা এবং তার মরহুম পিতা-মাতার জন্য দোয়া করা হয়।
উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইব্রাহিম শেখ, শিক্ষক হাফেজ মাওলানা হোসাইন আহমেদ ও কাউছ মিয়ার প্রতিনিধি রুহুল আমিন, চাঁদপুর পৌরসভার সাবেক বাজার কর্মকর্তা মোঃ নাসির উদ্দিন খানসহ এলাকার মুসল্লিগণ ও মাদ্রাসার শিক্ষক-ছাত্রবৃন্দ। দোয়া অনুষ্ঠান শেষে মাদ্রাসার পক্ষ থেকে উপস্থিত সবার মাঝে তবররুক বিতরণ করা হয়।
যারা কোরআনে হাফেজ হয়ে পাগড়ি ও সনদ গ্রহণ করেছেন তারা হলেন হাফেজ মোঃ খায়রুল ইসলাম, হাফেজ মোঃ ফাহমিদ, হাফেজ মোঃ রাকিবুল ইসলাম, হাফেজ মোঃ নাঈম শেখ, হাফেজ মোঃ নাঈম মিয়া ও হাফেজ মোঃ নাফিজ গাজী।
বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও, ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।