মা’ নয়ন বেগম নিজ গর্ভে ধারনকৃত শিশু সন্তানকে ফিরে পেতে নিজেই বাদী হয়ে চাঁদপুর জেলাধীন ফরিদগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। থানার নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, টাকার লোভে পাষন্ড পিতা নিজের সন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছেন। এ নিয়ে সর্বমহলে আলোচনার ঝড় বইছে। জানা যায়, ফরিদগঞ্জ উপজেলায় এক পাষন্ড জন্মদাতা বাবা ইকবাল হোসেন মুন্সী তার নয় মাসের নিজ সন্তান ইসরাত ইভাকে ষ্ট্যাম্পের মাধ্যমে মাত্র ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে। গত ৪ জানুয়ারি ফরিদগঞ্জ থানায় অভিযোগ হলেও এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান করতে পারেনি পুলিশ ।
রোববার ২১ জানুয়ারি বিকেলে চাঁদপুর শহরের চেয়ারম্যানঘাট এলাকায় কান্নাজড়িত কন্ঠে এসব তথ্য গণমাধ্যমকে জানান, শিশুর মা’ নয়ন বেগম। ফরিদগঞ্জ থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ইকবাল মুন্সীর স্ত্রী নয়ন বেগমের নয় মাসের সন্তান ইসরাত ইভা। বিবাহের পর থেকে যৌতুকের টাকার জন্য মারধর করে আসছে স্ত্রী নয়ন বেগমকে। এক পর্যায়ে যৌতুকের টাকা বিবাদীগণকে না দেওয়ার কারণে গেলো ১৬ ডিসেম্বর জোরপূর্বক একটি তালাকনামা কাগজেও ১০০ টাকা মূল্যের ৩টি খালি ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়া হয় নয়ন বেগমের কাছ থেকে। তারপর বিবাদীগণ জানান, স্বামীর সাথে তালাক হয়ে গেছে। ওই
সময় তার কোলে থাকা ৯ মাসের শিশুকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে নেওয়া হয়। শিশুর মা নয়ন বেগম জানান, স্বামীর বাড়ির এলাকার মেম্বার সুমন তার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নেয়। সালিশি বৈঠকের সময় যাতে তার বাচ্চাটা স্বামীর কাছে না দেয় সেজন্য এই টাকা নেয় সমুন মেম্বার। আমি আমার সন্তানকে ফেরত চাই। তা’ না হলে আমার বেঁচে থেকে লাভ কী? শিশুটির মা আরো জানান, লোক মারফতে জানতে পেরেছে গত ১৬ ডিসেম্বর শাহরাস্তির ওয়ারুক এলাকায় তার মেয়েকে ইকবাল মুন্সী ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। ৪ জানুয়ারি থানায় অভিযোগ করে এখন পর্যন্ত কোন সাড়া পাইনি।
অভিযুক্ত ইকবাল মুন্সী মুঠোফোনে জানান, গত ১৫ ডিসেম্বর নয়ন বেগমের সাথে সালিসি বৈঠকের মাধ্যমে তালাক হয়েছে। সুবিদপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য সুমন, নয়নদের এলাকার বেলায়েত চেয়ারম্যান, বড়গাঁ গ্রামের আশু, জামাল, আবু তাহের, ফারুক হোসেন ও বাবুল নামে ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সালিস বৈঠক
হয়েছে। তালাকের পরে শিশু সন্তানকে পিতার জিম্মায় দেয়া হয়।
তিনি আরো জানান, নয়ন বেগমের অন্য ছেলের সাথে সম্পর্ক আছে। যে কারণে তাকে তালাক দেয়া হয়েছে। সন্তান বিক্রির যে অভিযোগ থানায় করেছে, সেটি সঠিক নয়। আমি আমার এক সম্পর্কের খালাত বোনের কাছে সন্তানকে লালন পালন করার জন্য দিয়েছি। ফরিদগঞ্জ থানার পুলিশ মাহফুজ আমাকে ফোন দিয়েছে। পরে আমি বিষয়টি আমাদের এমপির প্রতিনিধি খাজে আহমদকে জানিয়েছি। তিনি বলেছেন পুলিশ কোন সমস্যা করতে চাইলে খাজা আহমদের নাম বলতে তা’ হলে কোন সমস্যা নাই। পুলিশ কিছু বলবে না।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইদুল ইসলাম রোববার রাত ৯টা ২মিনিটে জানান, অভিযোগ দেয়ার দিন আমি ছুটিতে ছিলাম। এ বিষয়ে আমার কিছু জানানেই। অভিযোগ হলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।