চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) ও চাঁদপুর-৩ (চাঁদপুর সদর ও হাইমচর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী (প্রতীক ঈগল) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনের সাবেক এমপি ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া তার নির্বাচনী প্রচারণার আনুষ্ঠানিক যাত্রা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, রাজনীতি হলো জনগণের সেবা করার উত্তম পন্থা। রাজনীতির অংশ হিসেবেই আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। আমি জনগণের সেবাকে এবাদত হিসেবে নিতে চাই। আমি বিশ^াস করি, ভোট একটি জনগণের আদালত। আমরা সকলে এই আদালতের সামনে হাজির হয়েছি। আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আমি যদি নির্বাচিত হতে পারি, তবে আমি আমার জীবনের শেষ পর্যন্ত জনগণের জন্যে নিজেকে বিলিয়ে দিবো। আমি নিজে দৃঢ় চিত্তে বিশ^াস করি, চাঁদপুর-৪ ও চাঁদপুর-৩ আসনের জনগণ তাদের আদালতের রায় সঠিকভাবে দিবে।
তিনি আরো বলেন, তফসিল ঘোষণার পর থেকে সবকিছুই ইসির কাছে চলে গছে। এখন আর স্থানীয় প্রশাসনের কাছে কিছুই নেই। ১৮ ডিসেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হয়েছে। সেই দিনই ফরিদগঞ্জের কয়েকটি স্থানে অপ্রীতকর ঘটনা এবং ফরিদগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার সহিদ উল্ল্যাহ তপদারের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে, যা কোনোক্রমেই মেনে নেয়ার মতো নয়। আমি একথা স্পষ্ট বলে দিতে চাই, কোনো অশুভ শক্তির কাছে আমরা মাথা নত করবো না। একই সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ, গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক করার দৃঢ় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আমরা তার সিদ্ধান্তকে বাস্তবায়ন করবো।
তিনি বলেন, বিগত নির্বাচনে নৌকার বিপরীতে প্রার্থী হলে বিদ্রোহী বলা হতো। কিন্তু এ বছর দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছি। তাই অতীতের হিসেব নিকেশ ভুলে গিয়ে জনগণ যেনো ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোট দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সমর্থ হয়, সেই চেষ্টা করুন। সারাদিন ভোট হবে, সন্ধ্যায় আমরাই বিজয় মিছিল করবো–এসব কথা যারা বলেন, তারা এসব কথা ভুলে যান। জনগণের কাছে যান, ভোট প্রার্থনা করুন। গত ৫ বছরে এই উপজেলা মাদকে সয়লাব হয়ে গেছে। আমি জনগণের আদালতে নির্বাচিত হলে আমি এই উপজেলাকে মাদকমুক্ত উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলবো। গত ৫ বছরে আমাদের নেতা-কর্মীরা অনেক নিপীড়ন নির্যাতন সহ্য করেছে। তারা অপেক্ষা করেছে, সেই অপেক্ষার সময় সমাগত।
তিনি বলেন, সোমবার প্রচার-প্রচারণা শুরু হলেও আমি মঙ্গলবার নিজের বাবা-মা, দাদা-দাদীর কবর জিয়ারত এবং আগামী নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয় ও জনগণের আশা আকাক্সক্ষার প্রতিফলন হয় সেজন্যে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করি। পরে প্রেসক্লাবে এসে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের কথা বললাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান পাটওয়ারী, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাহেদ সরকার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ওয়াহিদুর রহমান রানা, আলমগীর হোসেন স্বপন, আরিফুর রহমান আজাদ, প্রচার সম্পাদক সুলতান আহমেদ রিপন, সদস্য কামাল মিজি, ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম শেখ, এসএম কাউসারুল আলম কামরুল, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার সহিদ উল্লা তপদার, ডেপুটি কমান্ডার সরোয়ার হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান পাটওয়ারী, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি জহির হোসেন মিজি, সাধারণ সম্পাদক সফর আলী, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, মাহবুব আলম সোহাগ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম সুজন, বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম পাটওয়ারী প্রমুখ।
এছাড়া বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ বিপুল সংখ্যক কর্মী, সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে ঈগল মার্কার সমর্থনে একটি গণমিছিল উপজেলা সদর প্রদক্ষিণ করে।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
