ঢাকাসোমবার , ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আপন আলোয় উদ্ভাসিত
  6. আরো
  7. এক্সক্লুসিভ
  8. কবিতা
  9. কৃষি ও প্রকৃতি
  10. খুলনা
  11. খেলাধুলা
  12. গণমাধ্যম
  13. চট্টগ্রাম
  14. চাকুরি
  15. চাঁদপুর জেলার খবর

কৃষিতে সাফল্য : রঙ্গিন বাঁধাকপি চাষে চাঁদপুরে অপার সম্ভাবনা

রূপসী বাংলা ২৪.কম
ডিসেম্বর ১৮, ২০২৩ ৫:৩৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

চাঁদপুরের মাটিতে রঙ্গিন বাঁধাকপি চাষের অপার সম্ভাবনা রয়েছে বলে কপি চাষীসহ কৃষি অফিস নিশ্চিত করেছে। চলতি মৌসুমে মাত্র ১০ গ্রাম বীজে কমপক্ষে ১২শ’ চারা পেয়েছে এক কৃষক। তবে বীজের দাম সহনীয় রাখা হলে আর সহজলভ্য হলে অন্যরা রঙ্গিন বাঁধা কপি চাষে আগ্রহী হবে বলে মনে করছেন কৃষকরা।
রঙিন বাঁধাকপিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং খনিজ পদার্থ, যা অন্যান্য কপির তুলনায় পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ রঙিন বাঁধাকপি।
সরজমিনে দেখা যায়, হাজীগঞ্জের বাকিলা ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের চাষী আঃ রহমান ৬ শতক জমিতে ১০ গ্রাম রঙ্গিন বাঁধাকপির বীজ বপন করেন। ৭০-৭৫ দিনে কপিগুলো পরিপক্ব হয়ে বিক্রয়ের উপযোগী হয়। এ জাতের কপি দেখতে সুন্দর। হালকা মিষ্টি। সালাদ হিসেবেও খাওয়ার উপযোগী। পুষ্টিমানও অধিক। সবুজ বাঁধাকপির স্বাভাবিক যত্নে ফলন বেশ হয়। এটি স্বাভাবিক পরিবেশে কয়েকদিন সংরক্ষণ করা যায়। বাজারে ক্রেতার কাছে রঙিন বাঁধাকপির চাহিদা অনেক বেশি। তাই উৎসুক লোকজন সাধারণ কপির চেয়ে কয়েক গুণ বেশি দরে রঙিন জাতের কপি কিনতে আগ্রহী হচ্ছেন। স্থানীয় কৃষকরাও এ জাতের কপি চাষাবাদে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
চাষী আঃ রহমান জানান, বৃষ্টিটুকু না হলে রঙ্গিন কপি চাষে আমি শতভাগ সফলতা পেতাম। বীজের নাম আরেকটু কম হলে ভালো হতো। কৃষি অফিসারের মাধ্যমে ৬৫০ টাকা দিয়ে কুমিল্লা থেকে ১০ গ্রাম রঙ্গিন বাঁধাকপির বীজ এনেছি। তাই প্রথমবারের মতো রঙিন বাঁধাকপির চাষ করেছি। বোঝা গেলো ফলন বেশ ভালো হয়েছে। বাজারে প্রতিটি কপি ৫০-৬০ টাকা দরে পাবো বলে আশা করছি। যা সাধারণ কপির চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। লোকজন রঙিন জাতের কপি কিনতে বেশ আগ্রহী। অল্প টাকা খরচ করে আমি বেশ লাভ পাবো বলে আশা করছি। আগামীতে আরো বেশি জমিতে এ জাতের কপির চাষ করবো।
বাকিলা ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শাহ পরান বলেন, উপজেলায় প্রথমবারের মতো রঙিন বাঁধাকপির চাষ হয়েছে। প্রথমবার চাষ করেই সফলতা পাওয়া যাচ্ছে। আমরা ১০ গ্রাম বীজে প্রায় ১২শ’ চারা পেয়েছি। এর মধ্যে ২শ’ চারা বিক্রি করার পরে বাকিগুলো জমিতে রয়েছে। চলতি মৌসুমে প্রথম দিকের বৃষ্টি না হলে অসম্ভব রকম ফলন আসতো। বৃৃষ্টির পরে জমিতে যে পরিমাণ বাঁধাকপি রয়েছে, আশা করি কৃষক তা বিক্রিতে কয়েক গুণ বেশি লাভবান হবে।
হাজীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ দিলরুবা খানম জানান, স্বাভাবিকভাবে আবহাওয়া ঠিক থাকলে প্রাথমিকভাবে রঙ্গিন বাঁধাকপি উৎপাদনে সফলতা দেখতে পাচ্ছি। রঙ্গিন বাঁধাকপি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ, লাভ বেশি, বিক্রি বেশি।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।

%d bloggers like this: