ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আপন আলোয় উদ্ভাসিত
  6. আরো
  7. এক্সক্লুসিভ
  8. কবিতা
  9. কৃষি ও প্রকৃতি
  10. খুলনা
  11. খেলাধুলা
  12. গণমাধ্যম
  13. চট্টগ্রাম
  14. চাকুরি
  15. চাঁদপুর জেলার খবর

আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী এবি তালুকদারের ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী

রূপসী বাংলা ২৪.কম
ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩ ৪:১৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

শহীদ বুদ্ধিজীবী এবি তালুকদারের ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর চাঁদপুর সদর উপজেলার ২নং আশিকাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম বশির আহমেদ তালুকদারের বড় ছেলে এবি তালুকদার শহীদ হন। এবি তালুকদারের পুরো নাম আবুল বাশার তালুকদার ওরফে বাচ্চু। তিনি ১৯৩৩ সালে আশিকাটি ইউনিয়নের সেনগাঁও গ্রামের তালুকদার বাড়ির সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৪৭ সালে চাঁদপুর সদরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাবুরহাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্রিক পাস করে তৎকালীন পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে তিনি যোগ দেন। ১৯৬২ সালে বিমান বাহিনীর চাকুরি ত্যাগ করে তৎকালীন পিআইএতে চাকুরি নেন। তারপর থেকে দাবি আদায়ের সংগ্রামে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধের বিক্ষোভ-ঘেরাও কর্মসূচিসহ সব ব্যাপারে আন্দোলনের প্রথম সারিতে সংগ্রাম করেন।
এবি তালুকদার ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে ভালো ফুটবল খেলোয়াড় ও হাস্যোজ্জ্বল মানুষ ছিলেন। কৃতিত্বস্বরূপ জেলা চ্যাম্পিয়ন কাপ বিজয়ী দল হিসেবে তাঁর ও দলের ছবি এখনও বাবুরহাট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ অধ্যক্ষের অফিস কক্ষে সাঁটানো আছে। শহীদ আবুল বাশার তালুকদার ঢাকা মতিঝিল বিমান অফিসের কার্গো সেকসনের সিনিয়র অ্যাসিসটেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। শ্রমিক নেতা হিসেবেও তিনি নিজে সকলের কাছে প্রিয় ‘তালুকদার ভাই’ হিসেবে পরিচিত। ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত তৎকালীন কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংসদের (বর্তমান শ্রমিক লীগ)-এর সদস্য ছিলেন। তারপর তিনি অসুস্থতার কারণে সে পদ থেকে অব্যাহতি নেন। সুস্থ হয়ে সেই বছরেই শ্রমিক সংসদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে চলে আসেন গ্রামের বাড়িতে। এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়কারী হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেন। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করার জন্যে সকলকে উৎসাহিত করেন। বুকে অপারেশন থাকায় তিনি অস্ত্র চালানো থেকে বিরত থাকলেও মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন ক্যাম্পে যাতায়াত করতেন এবং একজন বিমান বাহিনীর সৈনিক হিসেবে যুদ্ধের কলাকৌশল ও পরামর্শ দিতেন এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের। মুক্তিযুদ্ধে সার্বিক পরিস্থিতি জানার জন্য এবং বিশেষ সংবাদে তিনি নভেম্বরের শেষের দিকে ঢাকায় যান। আর ফিরে আসতে পারেননি। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সম্মুখে কাজ করার কারণে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বিকেলে ঢাকায় তার নাখালপাড়া বাসা থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী পাকিস্তান ও আলবদর বাহিনী তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। তিনি আর বাসায় ফিরে আসতে পারেননি। ঢাকা রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে গুলি করে তাঁকে হত্যা করা হয়। স্বাধীনতার পর অনেক খোঁজাখুঁজি করে ঢাকার রায়ের বাজারে বধ্যভূমিতে বুদ্ধিজীবীদের লাশের সাথে তাঁর লাশ পাওয়া যায়। তারপর তেজগাঁও থানার পুলিশ ও পরিবারের লোকজন জিডি করে। তৎকালীন জিডি নম্বর ৭৩, ১৯৭১ সাল। সেখান থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে ঢাকায় নাখালপাড়াস্থ কবরস্থানে শহীদ আনোয়ারার কবরের পাশে দাফন করা হয়।
শহীদ আবুল বাসার তালুকদার রেখে গেছেন ২ স্ত্রী ও তিন কন্যা, বৃদ্ধ মা-বাবা ও ছোট ভাই বোন। দেশের জন্যে তিনি অকাতরে জীবন দিয়েছেন। কিন্তু পাননি সরকারি স্বীকৃতি ও কোনো অনুদান। এখন তাঁর গ্রামে বা অন্য কোথাও তার নামে নামকরণ করা হয়নি কোনো সড়ক বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিংবা স্থাপত্যের। শুধু মতিঝিল বিমান অফিস বলাকা ভবন গেইটে খোদাই করে লেখা আছে শহীদের তালিকায় এবি তালুকদারের নাম। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আবুল বাশার তালুকদারের পরিবার ও এলাকাবাসীর একটাই দাবি, আশিকাটি ইউনিয়নে তার নিজ গ্রাম সেনগাঁও গ্রামের সড়কটি যেনো শহীদ আবুল বাসারের নামে নামকরণ করা হয়। সেজন্যে তারা চাঁদপুর জেলা প্রশাসনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
আবুল বাশার তালুকদারের ছোট ভাই জাকির হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, আমার ভাইয়ের নামে এখন পর্যন্ত কোনো সরকারি অনুদান ও সড়ক বা প্রতিষ্ঠানের নামকরণ হয়নি। সরকারি কোনো আর্থিক অনুদান পেলে অসুস্থ ও সুস্থদের সাহায্য একটি শিক্ষা কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা হবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।

%d bloggers like this: