দেশের সেরা মৎস্য সম্পদ মা ইলিশ রক্ষায় এবার চাঁদপুরে ৫৭৩ অভিযানে ইঞ্জিন চালিত ১৯৪টি জেলে নৌকা জব্দ হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী মা ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম সুরক্ষিত করার লক্ষ্যে গত ১২ অক্টোবর হতে ২ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিলো।
এ সময় জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স নদীতে ৫৭৩টি অভিযান পরিচালনা করে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর হাতে নিষিদ্ধ সময়ে আটক হয় ৩৭১ জন জেলে। জব্দ হয় কাঠের ইঞ্জিন চালিত ৬২টি নৌকা। প্রতিটি নৌকার বর্তমান বাজার মূল্য দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা। সে হিসেবে উন্মুক্ত নিলামের অপেক্ষায় খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে কোটি টাকা মূল্যমানের এসব নৌকা। একই সময়ে নৌ পুলিশের অভিযানে জব্দ হয় ১৯৪টি নৌকা। ১০ নভেম্বর শুক্রবার সকালে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের অভিযানে জব্দ বহু জেলে নৌকা নদীর পাড়ে পড়ে আছে।
চাঁদপুর সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ কামরুজ্জামান জানান, আমাদের নৌ অঞ্চলের সব ইউনিটের মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের অভিযানে ১৯৪টি মাছ ধরার নৌকা জব্দ হয়। জেলে আটকের সাথে এসব নৌকা, জাল ও মাছ জব্দ হয়। নৌকাগুলো মামলার আলামত হিসেবে জব্দ দেখানো হয়। যে কারণে মামলার নিষ্পত্তি ও আদালতের নির্দেশ ছাড়া এসব নৌকা মালিকরা নিতে পারেন না। বিগত অভিযানগুলোতে মামলা নিষ্পত্তির পরে মালিকরা তাদের নৌকাগুলো নিয়েছেন। এবারও একই নিয়মে নিতে হবে। এখানে আমাদের কোনো কিছু করার নেই।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ গোলাম মেহেদী হাসান জানান, আমাদের অভয়াশ্রম এলাকায় অভিযানে যেসব নৌকা জব্দ রয়েছে, সেগুলো খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে উন্মুক্ত নিলামে বিক্রি হবে। গত মার্চ-এপ্রিল মাসে জাটকা রক্ষা অভিযানে যেসব জেলে নৌকা জব্দ করা হয়, সেগুলো উন্মুক্ত নিলামে বিক্রির পরে প্রাপ্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে, এবারও তা-ই হবে। নিলাম কার্যক্রমটি মৎস্য বিভাগের সহযোগিতায় সম্পন্ন করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।