ঢাকাশনিবার , ২৮ অক্টোবর ২০২৩
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আপন আলোয় উদ্ভাসিত
  6. আবহাওয়া
  7. আরো
  8. এক্সক্লুসিভ
  9. কবিতা
  10. কৃষি ও প্রকৃতি
  11. খুলনা
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. চট্টগ্রাম
  15. চাকুরি

শিক্ষাক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে : শিক্ষামন্ত্রী

রূপসী বাংলা ২৪.কম
অক্টোবর ২৮, ২০২৩ ৫:০৩ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি বলেছেন, শিক্ষাক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। কারণ আমরা বঙ্গবন্ধুর পথ অনুসরণ করে চলার চেষ্টা করছি। বঙ্গবন্ধু শুধু ১৯৭০ সালের প্রাক-নির্বাচনের ভাষণেই নয়, ১৯৪৯ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী যে ইশতেহার ছিলো সেখানেও শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে কতগুলো দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেগুলোকে ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে আমরা দেখেছি। আমরা ছয়দফার মধ্যে সরাসরি শিক্ষা না দেখলেও কিন্তু এর যে বিস্তারিত বিশ্লেষণ ছিলো সেখানে শিক্ষার কথা বলা ছিলো। আর ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আমরা দেখেছি বঙ্গবন্ধু তাঁর নির্বাচনী ভাষণে শিক্ষার কথা ব্যাপকভাবে বলেছেন।
২৭ অক্টোবর শুক্রবার দুপুরে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ঢাবিয়ান চাঁদপুরের আয়োজনে কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন শিক্ষায় বিনিয়োগ হচ্ছে শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ এবং জিডিপির ৪ ভাগ সেখানে বিনিয়োগ করা দরকার। যখন আমরা সারা বিশে^ শুনি শিক্ষায় জিডিপি কতভাগ বিনিয়োগ। এর মানে হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর বক্তব্যে বোঝা যাচ্ছে তিনি সময়ের চাইতে কতখানি এগিয়ে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে শিক্ষাকে হাতিয়ার হিসেবে নিয়েছিলেন এবং তিনি কুদরত-ই-খোদা শিক্ষা কমিশন তৈরি করেছিলেন। সেই কমিশন যে রিপোর্ট দিয়েছিলো, সেটি ছিলো অনেক সমৃদ্ধ। সেটি যদি আমরা বাস্তবায়ন করতে পারতাম আজকে আমরা শিক্ষায় বিশে^ অনেক বেশি এগিয়ে থাকতাম। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর অন্য সব ক্ষেত্রে যেমন আমরা পিছিয়েছি, শিক্ষাও তেমনি পিছিয়েছে।
ডাঃ দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে যারা তখন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছে, তারা কিন্তু এ দেশের স্বাধীনতায় বিশ^াস করেনি। কাজেই তারা এদেশের মানুষকে এগিয়ে নিবে এই চিন্তা তাদের মাথায় ছিলো না। যে কারণে তারা গতানুগতিক শিক্ষাকে চালিয়ে নিয়েছে, চালু ছিলো এবং চালু থাকতো যদি বঙ্গবন্ধুকন্যা দায়িত্বে না আসতেন। তিনি ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে শিক্ষায় একটি বড় ধরনের পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেছেন। তিনি বিশ^বিদ্যালয় ও স্কুল পর্যায়ে বিজ্ঞান শিক্ষাকে উৎসাহিত করেছেন। এরপর তিনি বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষার দিকে নজর দিয়েছেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা দ্বিতীয় মেয়াদে যখন ক্ষমতায় এসেছেন, সেই সময় তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশের যে ঘোষণা দিয়েছেন, সেটি ছিলো তরুণ প্রজেন্মর জন্যে ঘোষণা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আমরা দিন বদলের সনদ দিচ্ছি, এটি আমাদের তরুণ প্রজন্মের জন্যে। বদলে যাওয়া দিনের কাণ্ডারি হবে তরুণ প্রজন্ম এবং তারাই এর সুফলভোগী হবে। তারা উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের গর্বিত নাগরিক হবে।
তিনি বলেন, আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবতা। আমরা এখন স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে অধীর আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছি এবং সেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্যে কাজ করে চলেছি। স্মার্ট বাংলাদেশের ৪টি স্তম্ভ। স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সমাজ। আর এর কেন্দ্র হচ্ছে স্মার্ট নাগরিক। সেই স্মার্ট নাগরিক হতে হলে শিক্ষার দিকে অর্থাৎ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও মনোভাব নিয়ে তৈরি হতে হবে, তার সবকিছু আমরা আমাদের নতুন শিক্ষাক্রমে নিয়ে এসেছি।
তিনি বলেন, আমরা চাই আমাদের সন্তানরা ভালো পড়ালেখা করবে এবং জ্ঞানের সাথে দক্ষতা অর্জন করবে। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক হবে। তারা মূল্যবোধকে তাদের জীবনচর্চার অংশ করে নিবে। আর যে দক্ষতাগুলো বর্তমান বিশে^ আছে এবং আসছে সেগুলোর জন্যে তৈরি হবে। যেগুলোকে আমরা বলছি, সফ্ট স্কীল। সবকিছু মিলিয়ে তারা যেনো দক্ষ, যোগ্য, মানবিক ও সৃজনশীল মানুষ হয় সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।
ডাঃ দীপু মনি বলেন, শিক্ষাক্রমে যে পরিবর্তন এসেছে, তা নিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে এবং গুজব রটানো হচ্ছে। যারা কোচিং ও গাইড বই বিক্রি করছেন তারাও এর সাথে যুক্ত রয়েছেন। তারা এই ব্যবসা না করে অন্য ব্যবসা করতে পারবেন। তাদের কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু আমাদের এই শিক্ষাক্রমের পরিবর্তন বিষয়ে অভিভাবকদেরও সচেতন হতে হবে। তাদের সন্তানদেরকে এখন আর গাইড বই কিনে দেয়া লাগবে না। তাদের প্রাইভেট পড়তে হবে না। তারা আনন্দের মধ্যে শিখবে। আমি সারাদেশের শিক্ষকদের সাথে কথা বলছি। তারা এই শিক্ষাক্রমের বাস্তবচিত্র আমার কাছে তুলে ধরছে। তারা বলছেন, শিক্ষার্থীরা খুবই আগ্রহী এই শিক্ষাক্রমে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরির চেয়ারম্যান মোঃ নূরুল আমিন। ঢাবিয়ান চাঁদপুরের আহ্বায়ক ও চাঁদপুর সরকারি কলেজের শিক্ষক আলমগীর হোসেন বাহারের সভাপ্রধানে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান, দৈনিক ঢাকার ডাক পত্রিকার সম্পাদক এবিএম শামছুল হাসান হিরু ও বাবুরহাট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোশারেফ হোসেন বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে চাঁদপুর জেলা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও ভর্তিচ্ছুদের উদ্বুদ্ধ করা হয়।
ঢাবিয়ান চাঁদপুর জেলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ফোরামের সদস্যবৃন্দ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষক ও সুধীজন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও, ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।

%d bloggers like this: